পুষ্টিবিদরা বলেছেন, কুমড়া ভিটামিন ‘এ’র একটি সমৃদ্ধ উৎস। যা চোখের স্বাস্থ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কুমড়া রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা ও বাড়ায়। শুধু কুমড়াতেই নয়, এর বীজে পুষ্টিগুণে ভরপুর।
ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের অন্যতম উৎস হলো কুমড়ার বীজ। কুমড়ার বীজে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ম্যাগনেশিয়াম, জিঙ্ক ও ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। যা হৃৎপিণ্ড সুস্থ রাখার জন্য দারুণ উপকারী।
কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত কুমড়ার বীজ খেলে রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে। আরেক গবেষণা বলছে, কুমড়ার বীজ উচ্চ রক্তচাপ কমাতেও কার্যকরী। এটি তাই শরীরের নানা কাজে লাগতে পারে।
বাতের ব্যথা: মিষ্টি কুমড়ার বীজ হাড়ের সংযোগস্থলে ভেঙে যাওয়া চর্বিগুলোর পরিমাণ বাড়তে দেয় না। ভেঙে যাওয়া চর্বি হাড়ের সন্ধিস্থলে জমা হয়ে ব্যথার সৃষ্টি হয়। এভাবে চর্বি জমতে বাধা দিয়ে সে বাতের ব্যথা কমিয়ে দেয়। তাছাড়া এটি একটি প্রাকৃতিক উপাদান হওয়ার কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হয় না।
ভালো রাখে প্রোস্টেট: কুমড়ার বীজে জিংক পাওয়া যায়। যা পুরুষের উর্বরতা বাড়ায় ও প্রোস্টেটের সমস্যা প্রতিরোধ করে। এতে আছে ডিএইচইএ (ডাই-হাইড্রো এপি-অ্যান্ড্রোস্টেনেডিয়ন), যা প্রোস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়।
হার্ট ভালো রাখে: মিষ্টি কুমড়ার বীজে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় চর্বি, ফাইবার এবং বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। সবই হৃদযন্ত্রের জন্য উপকারী। এতে আছে ফ্যাটি অ্যাসিড, যা খারাপ রক্তের কোলেস্টেরল কমায় এবং ভালো কোলেস্টেরল বাড়ায়। ম্যাগনেশিয়ামের উপস্থিতি ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে।
ভালো ঘুম: মিষ্টিকুমড়ার বীজে আছে সেরোটোনিন। স্নায়ু নিয়ন্ত্রক এই রাসায়নিক বস্তুকে প্রকৃতির ঘুমের বড়ি বলা হয়। ট্রাইপটোফ্যান নামের অ্যামিনো অ্যাসিড শরীরে গিয়ে সেরোটোনিনে রূপান্তরিত হয়, যা ঘুম নিশ্চিত করে। ঘুমানোর আগে মুঠভর্তি কুমড়ার বীজ এনে দেবে পুরো রাত্রির শান্তি।
জ্বালাপোড়ার অনুভূতি কমায়: পেশির জ্বালাপোড়ার অনুভূতি কমানোর ক্ষমতা আছে কুমড়ার বীজের।
চুল লম্বা করতে: মিষ্টিকুমড়া বীজে থাকা কিউকুরবিটিন অ্যামিনো অ্যাসিড চুল বাড়াতে সহায়তা করে। এতে থাকা ভিটামিন ‘সি’ চুলের বৃদ্ধি বাড়ায়।
Reviews
There are no reviews yet.